ফেইসবুকে তন্বীর প্রতারণার ফাঁদে ধনাট্য ব্যক্তিরা
- আপলোড সময় : ৩০-১০-২০২৫ ০৪:১৯:৪৩ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ৩০-১০-২০২৫ ০৪:১৯:৪৩ অপরাহ্ন
এবার এক নারী প্রতারকের খপ্পরে পড়ে সব কিছু হারিয়ে এক অসহায় যুবক দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। ওই নারী হলেন টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল থানার শরাশাক গ্রামের মৃত তায়েজ উদ্দিন তালুকদারের ছোট মেয়ে তহুরা তালুকদার তন্বী। ২৩ বছরের ওই তহুরা তালুকদার তন্বী নানা কৌশলে ভুয়া ফেইসবুক আইডি খুলে ধনাট্য ব্যবসায়ী ও ব্যাংক বীমা কর্মকর্তাদের সাথে নানা কৌশলে সখ্যতা গড়ে তোলেন। শুধু তন্বী একাই নয় তার পাঁচ বোনও এলাকার ইউপি সদস্য আবুল হোসেন তালুকদারও এই প্রতারণার ব্যবসার সাথে জড়িত।
তন্বীর ৫ বোনের মধ্যে ৪ জনের নাম ঠিকানা পাওয়া গেলে একজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। সূত্র জানায়, টাঙ্গাইলের ঘাটাইল থানার একেবারেই অজ পাড়াগাঁও শরাশাক গ্রাম। এই গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা তায়েজ উদ্দিন তালুকদার। কিছু দিন আগে তায়েজ উদ্দিন তালুকদার মারা যান। তার স্ত্রী মোসা. কামরুন্নাহার তালুকদার। মারা যাওয়ার সময় ৫ কন্যা ও এক পুত্র সন্তান রেখে যান। বড় চার মেয়ের বিয়ে হয়। বাকী থাকেন ছোট মেয়ে তহুরা ।
তহুরা তালুকদার মোবাইলের যত ধরনের ডিভাইজ আছে তা তিনি শিখে নতুন নতুন ফেইসবুক আইডি খুলে বিভিন্ন মানুষকে নানা ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের সাথে আতাত করেন। প্রথমে নিজেকে কুমারী পরিচয় দিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এক সময়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। শারীরিক সম্পর্ক গড়ে গোপনে নানা ধরনের ভিত্তিও ধারণ করেন। এরপরই তহুরা তালুকদার তন্বী ও তার চার বোন ও মামা আবুল হোসেনকে নিয়ে প্রতারণার ব্যবসা শুরু করেন।
তন্বীর নিজ বাড়ি টাঙ্গাইলে, তিনি ভুয়া আইডিতে দেখা যায় তার বাড়ি রাজশাহী। তন্বী দুইটি জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করেন। কখনো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংলিশে অনার্স পরিচয় দিয়ে থাকেন। আবার কখনো মাওলানা ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী পরিচয়ে প্রতারণা করে থাকেন।
ইতিমধ্যে কয়েকজন ধর্নাট্য ব্যবসায়ী ও বেশ কয়েকজন চাকরিজীবীদের সাথে ভুয়া আইডি খুলে তাদের সাথে সম্পর্ক গড়ে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক এক ভুক্তভোগী জানান, তহুরা তালুকদার তন্বী অনেক সুন্দরী। এই সুন্দরকে কাজে লাগিয়ে তিনি দীর্ঘ ৭ মাস ধরে প্রেম করে আসছেন। প্রথমে ফেইসবুকে তন্বির সাথে পরিচয়। এরপর ধীরে ধীরে গভীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ইতিমধ্যেই তন্বি নানা কৌশলে তার কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এমন কি ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় সোনারতরী রেস্তোরাঁয় বসে উভয়পক্ষের লোকজনের উপস্থিতিতে ১ লাখ ১০ হাজার টাকার ডাইমন্ডের একটি আংটি পরিয়ে তাদের মধ্যে বিয়ে সম্পন্ন হয়। কিন্তু ওই আংটি পরার পর ওই বরের কাছে ২ কোটি টাকা দাবি করেন তন্বী ও তার পরিবার। এরপরই দিশেহারা হয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি। তন্বী সব কিছু হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। ওই ব্যক্তি যখনই বুঝতে পারলো তন্বী একজন প্রতারক। এটা তার ব্যবসা। তখনই শটকে পড়তে থাকেন ওই ব্যক্তি। এরপর তিনি এই প্রতারকের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বিভিন্ন সংস্থার দ্বারস্থ হন।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
আবু জাফর